ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করার ৫টি উপায়

 আমাদের দেশের অনেক বড় বড় ব্লগ সাইট রয়েছে ব্লগ সাইট রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন গুগল থেকে হাজার হাজার অর্গানিক ক্লিক পেয়ে থাকে। ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করার উপায় অবলম্বন করে ব্লগাররা এমনটি করে থাকেন। কিন্তু ওয়েবসাইট দ্রুত গুগলে র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা যায়, এর সঠিক পদ্ধতি অনেকেই জানি না।

আমি আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ওয়েবসাইট দ্রুত গুগল র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার কয়েকটি কার্যকরী উপায় নিয়ে। আর এ জন্য অবশ্যই এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করার উপায়

ওয়েবসাইট গুগলে দ্রুত র‍্যাংক হলে এর অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি এর কারণে গুগল থেকে অর্গানিক ট্রাফিক খুব সহজেই পেতে পারেন। তাহলে চলুন, আমরা আলোচনা করি ওয়েবসাইটকে গুগলে কিভাবে র‍্যাংক করানো যায়।

১. নিয়মিত পোস্ট করতে হবে

ওয়েবসাইট গুগলে দ্রুত র‍্যাংক করানোর জন্য নিয়মিত পোস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত High quality post করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইট গুগলের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করবে। গুগল তখন ভাববে যে এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিনই হাই কোয়ালিটির পোস্ট করা হয়ে থাকে।

এর ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি বাড়তিভাবে নজরদারিতে রাখবে এবং নিয়মিত পোস্ট করার কারণে আপনার সাইট রাঙ্কিংয়ে থাকবে। তাই আপনার ওয়েবসাইট যদি আপনি দ্রুত র‍্যাংক করাতে চান, তাহলে অবশ্যই সেখানে আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে।

২. হাই কোয়ালিটির পোস্ট করতে হবে

নিয়মিত পোস্ট করে যাবেন কিন্তু আপনার পোস্টের কোন কোয়ালিটি থাকবে না; তাহলে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংকে আসবে না। আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করাতে হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে হাই-কোয়ালিটির কনটেন্টের পাশাপাশি নিয়মিত পোস্ট করার অভ্যাস করতে হবে।

কারণ আপনার পোস্টের কোয়ালিটি যদি ভালো হয়ে থাকে এবং অনেক বেশি তথ্যবহুল হয়ে থাকে তাহলে গুগল অবশ্যই আপনার পোস্টকে সবার উপরে র‍্যাংকে নিয়ে যাবে। আর আপনার কোন পোস্ট যদি গুগলের প্রথম পেজে র‍্যাংকে থাকে, তার মানে আপনি সেখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্গানিক ভিজিটর পাবেন।

৩. On-page এসইও করতে হবে

আমরা অনেকেই শুধু ওয়েবসাইটে পোস্ট করে থাকি। কিন্তু On-page এসইও করতে অনেকের খেয়াল থাকে না। বিশেষ করে যারা নতুন ব্লগার তারা কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং On-page এসইও না করে পোস্ট লিখে থাকেন। যার ফলে তারা কোন ভিজিটর পান না এবং একসময় তারা ব্যর্থ হন।

তাই অবশ্যই আপনি যখন একটি পোস্ট লিখবেন, উক্ত পোস্টটি একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের ওপর ফোকাস করে লিখবেন। পাশাপাশি যদি সম্পূর্ণ On-page এসইও করে লিখেন তাহলে অবশ্যই আপনার পোস্টটি গুগোলে র‍্যাংক করবে এবং আপনি গুগল থেকে খুব সহজেই অর্গানিক ভিজিটর পাবেন। তাই অবশ্যই যখন আপনি পোস্ট লিখবেন তখন সঠি ভাবে আপনার পোস্টটি On-page এসইও করবেন।

আপনি যদি নিয়মিত এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার সাইটটিকে খুব দ্রুতই র‍্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, আপনার পোস্টে ওয়ার্ডের ঘনত্ব যেন বেশি হয়ে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে খুবই দ্রুত আপনার কাঙ্খিত পোস্টটিকে আপনি গুগলে র‍্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।

৪. ব্যাকলিংক করতে হবে

কোন ওয়েবসাইট দ্রুত গুগলে র‍্যাংক করার একটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে ব্যাংকলিংক সৃষ্টি করা। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের বিপরীতে শক্তিশালী ব্যাকলিংক তৈরি করবেন তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে খুব দ্রুতই র‍্যাংকে নিয়ে আসবে।

আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যত হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক করতে পারবেন তত আপনার ওয়েবসাইট অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোর থেকে এগিয়ে যাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো খুবই দ্রুত উপরের সারিতে চলে আসবে।

আপনি চাইলে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোর সাথে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাকলিংক করতে পারেন। তবে ব্যাকলিংক করার সময় আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যেসব সাইটগুলোর সাথে ব্যাকলিংক করতে চাচ্ছেন সেসব সাইটগুলো যেন পুরাতন সাইট হয় এবং উক্ত সাইটের র‍্যাংক যেন ভাল হয়।

১০০টি Low quality ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাংকলিঙ্ক করার চেয়ে দশটি High quality ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাকলিংক করা অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি এমন কোন ওয়েবসাইটের সাথে ব্যাকলিংক করবে না যে ওয়েবসাইটগুলোর সাথে লিংক করা আপনার জন্য স্পাম লিংক হিসেবে গুগলের কাছে গণ্য হবে।

তাই অবশ্যই ভালো র‍্যাংক থাকা বিশ্বস্ত কিছু ওয়েবসাইটের সাথে আপনার ব্যাকলিংক করতে হবে। এর ফলে গুগলের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা ও ভ্যালু অনেক বেড়ে যাবে।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হবে

আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পোস্ট অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ইত্যাতিদে বেশি বেশি করে শেয়ার করতে হবে। আপনি এসব ওয়েবসাইটগুলোতে যত বেশি আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারবেন গুগল আপনার ওয়েবসাইটের ভ্যালু ততবেশি দেবে।

কেননা আপনি যখন এসব সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের পোস্ট বেশি বেশি করে শেয়ার করছেন তখন আপনার ওয়েবসাইটের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখানেই হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আপনি এসব সাইটগুলোতে আপনার পোস্ট শেয়ারের মাধ্যমে এখান থেকে খুব সহজেই অনেক ভিজিটর নিয়ে যেতে পারবেন ।

কিন্তু অধিকাংশ নতুন ব্লগার এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে তাদের পোস্ট শেয়ার করতে চায় না। যার ফলে প্রথম পর্যায়ে তাদের পোস্ট গুলো গুগলে ইনডেক্স হতে দেরি করে এবং তাদের সাইটে র‍্যাংকে আসতে অনেক দেরি হয়ে থাকে।

তাই অবশ্যই আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট লেখার পাশাপাশি সেই পোস্টগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করবেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের একদিকে যেমন ভিজিটর আসতে থাকবে এবং অন্যদিকে আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি গুগলের কাছে অনেক বাড়তে থাকবে।


►► আরো দেখুন: পত্রিকায় লিখে আয় করার উপায়
►► আরো দেখুন: স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম


শেষ কথা

দীর্ঘ এই আলোচনায় আমরা নতুন ব্লগারদের জন্য ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিজিটরকে ওয়েবসাইটের প্রাণ বলা হয়ে থাকে। আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং কষ্ট করে প্রতিনিয়ত পোস্ট করে গেলেন কিন্তু এখান থেকে আপনি কোন ভিজিটর পেলেন না। এর অর্থ আপনার লেখা কেউ দেখতে পাচ্ছে না। যার ফলে আপনার পোস্ট করার কোনো মূল্যই থাকবে না।

তাছাড়া আপনি যখন নিয়মিত কষ্ট করে পোস্ট করে যাবেন, অবশ্যই আপনি চাইবেন এই পোস্টগুলো থেকে আপনার যেন কিছু উপার্জন হয়। আর আপনাকে যদি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হয় অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর লাগবে।

তাই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট র‍্যাংকিংয়ের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আপনি যদি আমাদের দেওয়া এই গাইডলাইন অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনার পোস্টগুলো দ্রুত র‍্যাংক করবে এবং আপনি এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক ভিজিটর পাবেন।

Post a Comment

0 Comments